このブログを検索

2018年12月13日木曜日

জাপানে কাজি করতে চান​? তাহলে প​ড়বেন​!

**বিস্তারিত **



জাপানে শ্রমিক দরকার। দক্ষ অদক্ষ মিলে প্রায় ৩৪৫,১৫০জন শ্রমিক নেবে আগামী ৫ বছরে। জাপানে ডিমান্ড আছে, বাংলাদেশে সাপ্লাই আছে। 
জাপান চাকুরী দিতে চায়, বাংলাদেশ চাকুরী পেতে চায়। তাহলে সমস্যা কোথায়? ম্যাচ মাকিং টা করে দেবে কে? সেটাই হলো কথা। 
এখন প্রশ্ন হচ্ছে 
(ক) কীভাবে আসবেন, কী যোগ্যতা লাগবে 
(খ) কত টাকা লাগবে
(গ) কত বেতন পাবেন, কতদিন থাকতে পারবেন 
সঠিক তথ্য কার কাছে আছে? 

প্রায় ৪ লক্ষ শ্রমিক। এই মার্কেট ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন এবং আফ্রিকার কিছু দেশ। 

বাংলাদেশ ১০% এর মার্কেট টার্গেট করলে  ৪০ হাজার। ৪০ হাজার টার্গেট করা কী কঠিন? 
সোজা হবার কথা ছিল। কারণ যে দুটি যোগ্যতা জাপান চাচ্ছে তার দুটোই বাংলাদেশিদের অনুকূলে। 

(১) জাপানি ভাষা জানা। 
বাংলাভাষীদের জন্য জাপানি ভাষা শেখা এবং কথা বলা সোজা। কারণ ব্যাকরণ একই। উচ্চারণ সোজা। 

(২) জাপানি নিয়ম কানুন মেনে চলা। 
জাপানে বাংলাদেশিদের রেকর্ড ভালো। অন্যান্য দেশের ক্রিমিনাল রেকর্ড অনেক বেশী। 

কিন্তু এই টার্গেট করা কঠিন কেন হয়ে আছে, জানিনা। 
বর্তমানে জাপানে শ্রমিকের সংখ্যা ১,২৭৮,৬৭০
চায়না ৩৭২,২৬৩ (২৯%)
ভিয়েতনাম ২৪০,২৫৯ (১৯%)
নেপালিদের সংখ্যা ৬৯,১১১ (৫% )
এখানে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র ছয় হাজার। 0.৫ % এর ও নীচে। 

এই ছয় হাজারের মধ্যে ৩০০০ ই জাপানি ভাষা স্কুল গুলোতে অধ্যয়নরত। আমাদের দেশ থেকে যারা আসে, তাঁরা নিজের চেষ্টায় আসে। অর্গানিক ওয়ে তে। কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্ট্রাটেজি বা সরকারের কোন ইনিশিয়েটিভ কাজ করছে না। 
প্রাইভেট ভাবে আসা মানে হলো ইনফরম্যাল কিছু রুট ব্যবহার করা। ইনফরম্যাল মানেই অযথা খরচ। একেক জন ছাত্র ১০ থেকে ১৫ লক্ষ ইয়েন  খরচ করে ভাষা শিখতে আসে। ভাষা স্কুলে যাওয়া, পার্ট টাইম করা এসব মিলে কতদিনে যোগান দিতে পারবে তাদের মূলধনের? এর মধ্যে ৬ -৭ লাখ ইয়েন দিতে হয় টিউশন ফি হিসাবে। 

শ্রমিক হিসাবে আসলে শুধু প্লেন ভাড়া আর কী খরচ থাকতে পারে? 

পার্লামেন্টে বিল পাশ হয়েছে মাত্র গত ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৮ তে। এর মধ্যে বাংলাদেশে অনেক হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে। 
টেকা দেন, ভিসা দিমু 
ভিসা দিমু, টেকা দেন। 
পত্র পত্রিকা গুলোতে ও নিয়মিত বিজ্ঞাপন শুরু হয়ে গেছে। 

বিপদে পড়েছি, আমরা যারা জাপানে আছি। দুধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হই - 
ভাই,  জাপানে যাইতে চাই, কত দিমু? কারে দিমু? 
ভাই, আমার ভাইগ্নারে, ছোট ভাইটারে  পাঠাইতে চাই, কত দিমু, কারে দিমু?

এগুলোর উত্তর আমরা জানিনা। আসলেই আমরা জানিনা। কিন্তু আমরা যারা  জাপানে থাকি, আমাদের মাধ্যমে, আমাদের দেয়া সঠিক তথ্যের মাধ্যমে  যদি  দেশি একজন ভাই একটা চাকুরী পায়, একটা পরিবার যদি উঠে দাঁড়াতে পারে। দেখেন না একটু তথ্য সংগ্রহ করে সহজ বাংলায় লিখে দিতে পারেন কিনা। 

আমি নিজে ও একটু খোঁজ নিলাম। যদ্দুর বুঝলাম, ততটুকু শেয়ার করে রাখছি। আপনার কাছে আরো তথ্য থাকলে, প্রশ্ন থাকলে লিখে রাখুন। তৈরি হয়ে যাক আমাদের জন্য একটা প্রশ্ন উত্তর মালা। 


প্রশ্ন-(১) বাংলাদেশে সরকারি ভাবে কোথায় তথ্য পাবো? 
উত্তর-১) সম্ভবত ৩ টি প্রতিষ্ঠান তথ্য দিতে পারবে। 
(ক) আমার ধারনা বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস লিমিটেড। http://www.boesl.org.bd
চমৎকার ওনাদের ভিসন, মিশন।  ওয়েবসাইট টি সুন্দর। কিন্তু ইংরেজিতে লেখা। আশা করি ওনারা আরেকটু সদয় হয়ে একটা বাংলা ভার্শন ও রাখবেন। শ্রমিক ভাইরা সবাই ইংরেজি নাও জানতে পারে। 

(খ)  টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।  
নিশ্চয়ই একটা গাইডলাইন দেবেন। ভুয়া দালালদের খপ্পরে যেন পড়তে না হয়, জবের তথ্য, জাপান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে ভরপুর করে রাখবেন।  http://bdembjp.mofa.gov.bd

(গ) ঢাকাস্থ জাপান দুতাবাস। 
নতুন ভিসা স্কিম শুরু হয়েছে। ভিসা সম্পর্কিত তথ্য পাবেন এখানে। মনে রাখবেন জাপানে ভিসা নিতে কোন ধরনের ভিসা প্রসেসিং ফি লাগে না।  https://www.bd.emb-japan.go.jp/itpr_en/visa.html

প্রশ্ন-(২) কি ধরনের চাকুরী পাবো? আগে কী এধরনের চাকুরীতে লোক নিত না? 
উত্তর-(২) ১৪ টি সেক্টরে লোক নেয়ার কথা হচ্ছে। বেশি লাগবে কনস্ট্রাকশন, কৃষিকাজ আর নার্সিং। অলিম্পিকের জন্য কন্সট্রাকশনে লোক এখনি লাগবে। কৃষিকাজ আর নার্সিং এর জন্য বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে লোক লাগবে। আগে ও নিত। পরিমাণে অল্প। নিয়মে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল- যেমন (১) সময় সীমা ছিল ৩ বছর (২) যে বসের সাথে কাজ করবে, বস পরিবর্তন করতে পারবে না (৩) পরিবারের সদস্য আনা যাবে না 

প্রশ্ন-(৩) কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবো? 
উত্তর-(৩) দুই ধরনের রেসিডেন্ট স্ট্যাটাসের কথা চিন্তা ভাবনা হচ্ছে। 

টাইপ-১ এ আসবে অল্প স্কিলের লোকজন। ৫ বছরের ভিসা পাবে। জাপানিজ ভাষা আর টেকনিক্যাল স্কিল এর ওপর পরীক্ষা তে পাস করতে হবে। কে পরীক্ষা নেবে কখন পরীক্ষা নেবে, কথায় পরীক্ষা নেবে এগুলো এখনো জানিনা। 
টাইপ-২ তে হাই-স্কিল লাগবে। পার্মানেন্ট ভিসা পাবে। ফ্যামিলি মেম্বার সাথে এনে রাখতে পারবে। 

প্রশ্ন-(৪) পরিবার নিতে পারবো?
উত্তর -(৪)  জ্বি পারবে। তবে কেবল মাত্র টাইপ-২ ভিসার জন্য প্রযোজ্য। 

প্রশ্ন-(৫) কতদিন থাকতে পারবো ?
উত্তর -(৫)  ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দেখেন। 

প্রশ্ন-(৬) দালালদের কে কীভাবে বিশ্বাস করবো?
উত্তর-(৬) দালাল সবাই বাটপার না। দালাল শব্দটা বাংলায় যতটুকু খারাপ শোনায়, ইংরেজির “এজেন্ট” শব্দটা তেমন শোনায় না। বরং স্বাচ্ছন্দ্যে আমরা কিছু সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে এজেন্ট দের টাকা দেই। একজন দালাল আপনার পক্ষ হয়ে কাজ করে দিলে আপনি টাকা দেবেন না? তবে দালাল বৈধ কিনা, সমস্ত তথ্য স্বচ্ছ কিনা - সেটা যাচাই বাছাইয়ে এর দায়িত্ব আপনার। 

আরো প্রশ্ন আসুক। আপডেট করবো। আজ এ পর্যন্ত থাকুক। 
জাপান চাচ্ছে  যাতে আপনি জাপানে এসে সুখে শান্তিতে বাস করতে পারেন। জাপানে ক্রাইম রেট কম। হঠাৎ বিদেশি লোক এলে ক্রাইম বেড়ে যাবে না তো? জাপানি সমাজে শান্তি বজায় রাখার দুটা উপায় 

-ভাষা জানতে হবে 
-জাপানি বিজনেস কালচার বুঝতে হবে

এই দেশের কিছু কঠিন কালচারের কথা বলি। ওনারা ব্যাক্তির চেয়ে একটা সংস্থা কে দেখে। একজন ব্যাক্তিকে বাড়ি ভাড়া দেয়ার সময় ও একজন গ্যারান্টার চাই। চাকুরী নিতে চাইলে ও একজন বিশ্বস্ত গ্যারান্টার চাই। জাপান হয়তো কিছু এজেন্সি কে লাইসেন্স দেবে। যারা নিজ দায়িত্ব লোকজন সিলেক্ট করবে। আপনি যদি জাপানে আসতে চান, এখন থেকেই জাপানি ভাষা শেখা শুরু করুন। নিয়মিত ইন্টারনেট দেখতে থাকুন। এখানে প্রশ্ন করতে থাকুন। কেউ না কেউ উত্তর দেবে।

credit:(Ashir Ahmed sir  :Associate professor at Kyushu University)

0 件のコメント:

コメントを投稿